বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
নতুন আসা রোহিঙ্গাদের কারণে সংকটের চাপ আরও বাড়ছে-উপদেষ্টা ফারুক জানা গেল এইচএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য সময় গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭০৮ জনের তালিকা প্রকাশ, বাদ গেলে জানানোর অনুরোধ ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ, ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: সালাহউদ্দিন রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের একার উদ্বেগের বিষয় নয়: কমনওয়েলথ মন্ত্রীদের বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শেয়ার বাজারে কারসাজির কারণে সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হয়েছে , স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল জেনারেল আজিজের দুই ভাইয়ের “আমি নিশ্চিত, আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই” চকরিয়ায় ডাকাতের গুলিতে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম নিহত: ৩ ডাকাত আটক

রেলের টিকিট বিক্রির টাকা আত্মসাৎ ঘটনায় তদন্ত কমিটি মাঠে

চট্টগ্রাম ব্যুরো:
রেলওয়ের চট্টগ্রাম-নোয়াখালী রুটের ছয়টি স্টেশনের টিকিট বিক্রির ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা আত্মসাৎ ঘটনায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এখন মাঠে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, জানা যায়, ২৯ ডিসেম্বর নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকেট বিক্রির ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা ৬টি থলেতে ভরা হয়। এরপর সেগুলো সীলগালা করে বিশেষ সিন্দুকে ঢুকিয়ে পুনরায় সিল করে তা লাকসাম স্টেশন মাস্টার বরাবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়। লাকসাম স্টেশন মাস্টার শাহাবুদ্দিন সিন্দুকটি গার্ড থেকে বুঝে নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ থেকে আসা চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেন। ট্রেনের গার্ড চট্টগ্রাম পে এন্ড ক্যাশ অফিসে সিন্দুকটি বুঝিয়ে দিতে গেলে দেখা যায় সিন্ধুকটির তালা ভাঙা। সিন্দুক থেকে হাওয়া হয়ে যায় ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা।
অভিযোগ রয়েছে, লাকসাম স্টেশন মাস্টার শাহাবুদ্দিনকে সিন্দুকে গরমিল অবহিত করা হয়েছিল। এরপরও তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সিন্দুকের গায়ে নতুন একটি কার্ড ট্যাগ লাগিয়ে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে লাকসাম স্টেশনের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, নিয়ম অনুযায়ী স্টেশন মাস্টারের নজরে যেকোনো ত্রæটি এলে তা ফোনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করতে হয়। এ ঘটনায় তিনি ঊর্ধ্বতন কাউকে না জানিয়ে নতুন কার্ড ট্যাগ লাগিয়ে সিন্দুকটি চট্টগ্রাম কেন পাঠালেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

এ ব্যাপারে লাকসাম স্টেশন মাস্টার শাহাবুদ্দিনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। নোয়াখালী স্টেশন মাস্টারের মুঠোফোনেও একাধিকবার কল করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক মনিরুজ্জামান (সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা) টাকা গায়েব হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘গত ২ জানুয়ারি এ ঘটনা তদন্ত করতে লাকসাম গিয়েছি আমরা। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের পাশাপাশি কুলিদের বক্তব্য গ্রহন করেছি। আরো কয়েকবার সেখানে যেতে হবে। তবে প্রাথমিক তদন্তে বুঝা যায়, নোয়াখালী ও লাকসামের মধ্যেই কোথাও এই ঘটনা ঘটে।’
জানা গেছে, লাকসাম স্টেশন থেকে নোয়াখালী পথে ৬টি স্টেশনের টিকিট বিক্রির টাকা চট্টগ্রাম ক্যাশ অফিসে পাঠানোর সময় এমন কান্ড ঘটে। নিয়মানুযায়ী টাকা বহনে রেলওয়ের আরএনবি বা জিআরপি পুলিশ থাকার কথা৷ এই টাকাগুলো পরিবহনে তাদের কাউকে রাখা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION